jonogon
Monday, December 21, 2015
Tuesday, March 31, 2015
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বেদ-পুরানে মহানবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম
- সকল অমুসলিমদের ন্যায় হিন্দুদেরকেও ইসলাম
ধর্মের প্রতি দাওয়াত দেয়া মুসলমানদের কর্তব্য। মুসলিম দেশে এ দায়িত্ব পালন
না করলে মুসলমানদের আল্লাহর দরবারে জওয়াবদিহী করতে হবে। অমুসলিম ও
হিন্দুদের নিকট দাওয়াত পেশ করার জন্য উত্তম পদ্ধতি হল তাদেরকে সরাসরি
কুরআনী দাওয়াত পেশ করা যে, মহান আল্লাহ তা‘আলা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন
প্রকার শরীক নেই। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ
তা‘আলার সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোন নতুন নবী আসবে না এবং তাঁর নবী হওয়ার
পর পূর্ববর্তী সকল ধর্ম রহিত হয়ে গেছে। সুতরাং দুনিয়া ও আখিরাতের নাজাত ও
কামিয়ারী একমাত্র ইসলাম ধর্মে নিহীত। এখন অন্য কোন ধর্ম মান্য করে কোন
মানুষ পরকালে নাজাত পাবে না। বরং তাঁর সেই ধর্ম আল্লাহ তা‘আলার দরবারে
কস্মিনকালেও গ্রহণযোগ্য হবে না এবং সে ব্যক্তি চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামী
হবে।
কুরআন কারীমে এসব কথা বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে। কুরআন যে, সম্পূর্ণ সহীহ এবং সকল প্রকার দোষ-ত্রুটি ও সন্দেহের উর্ধ্বে এ কথা কুরআনে বর্ণিত অসংখ্য ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবায়নের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া কুরআন বার বার তার নমুনা বাক্য পেশ করার জন্য বিশ্ব অমুসলিমদের প্রতি কিয়ামত পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ করে রেখেছে। চতুর্থবার কুরআনের শধুমাত্র একটি বাক্যের ন্যায় বাক্য তৈরি করে পেশ করার যে চ্যালেঞ্জ করেছে দেড় হাজার বছর পর্যন্ত কোন অমুসলিম ব্যক্তি, সংস্থা বা তাদের আন্তর্জাতিক সেমিনার ও চ্যালেঞ্জর মুকাবিলা করতে সাহস করেনি। এ কথাও কুরআনের সত্যতার এবং আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব হওয়ার জবরদস্ত দলীল। সুতরাং সমস্ত অমুসলিমদের কর্তব্য বিষয়টি নিয়ে ফিকির করা এবং নিজেকে আখিরাতের কঠিন আজাব থেকে বাঁচানোর জণ্য দীনে ইসলাম কবূল করা।উক্ত মূল দাওয়াতের সাথে সহায়ক হিসেবে হিন্দুদেরকে তাদের ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মযাজকদের মতামতও তাদের সামনে তুলে ধরা যায়। এ জন্যই বর্ণিত নিবন্ধটি পাঠকদের খিদমতে পেশ করা হচ্ছে।সম্প্রতি ভারতের প্রসিদ্ধ ধর্মাচার্য ‘ড. বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়’ রিসার্চ স্কলার, সংস্কৃত বিভাগ, প্রয়োগ বিশ্ববিদ্যালয় এলাহাবাদ, “কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব” নামে একটি গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন। সংক্ষিপ্ত করার লক্ষ্যে উক্ত গ্রন্থের বিশেষ বিশেষ স্থান, যাকে উক্ত গ্রন্থের সারবস্তু বললেও অত্যুক্তি হবে না, উপস্থাপন করা হচ্ছে। উক্ত গ্রন্থে ড. বেদ প্রকাশ বলেন-ঐতিহাসিক বিষয়ে গবেষণা করার প্রতি দুর্নিবার আকাঙ্খা ও অভিলাষ নিজের অন্তরে সর্বদা পোষণ করি। বেদ, বাইবেল এবং বৌদ্ধ-গ্রন্থে যে অন্তিম ঋষির আগমন সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, তাতে মোহাম্মদ সাহেবই প্রমাণিত হন। অতপর আমার অন্তরে এ প্রেরণা জাগ্রত হয় যে, সত্য প্রকাশিত করা আবশ্যক, যদিও এটা কোন মানুষের নিকট অপ্রিয় লাগে। মোহাম্মাদ সাহেবের পূর্ব যুগে ভারত এবং আরববাসীগণের একই ধর্ম ছিল। এর বহু প্রমাণ বিদ্যমান, কিন্তু তা উদ্ধৃত করার উপযুক্ত স্থান নয় এটা। আমি ধর্মীয় সংকীর্ণতার পক্ষপাতি নই। যদি কোন স্থানে কোন সত্য কথা থাকে তাকে অস্বীকার করার দু:সাহস করতে পারি না। বেদসমূহে দ্বাদশ পত্মীধারী এক উষ্ট্রারোহ ব্যক্তির আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। যাঁর নাম নরাশংস হবে। সায়নের নরাশংস-এর অর্থ বলেছেন যে, যিনি মানুষ কর্তৃক প্রশংসিত হন। কিন্তু আমার বিশ্লেষণ অনুসারে আমি সায়নের সাথে একমত নই। কারন আমার মতে নরাশংস শব্দ এমন নরস অর্থাৎ ব্যক্তিকে সূচিত করে, যাঁর নামের অর্থ হবে প্রশংসিত। মুহাম্মদ আরবী শব্দের অর্থ প্রশংসিত। অতএব মুহাম্মদ এবং নরাশংস একার্থবোধক শব্দ। আলোচ্য গ্রন্থে আমি যথাসাধ্য সত্য উদঘাটন করার প্রয়াস পেয়েছি।ইসলামী সংস্কৃতিতে নবী-রাসূল বা পয়গাম্বরগণের যে স্থান, প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতিতে অবতারগণের সেই স্থান। মুসলমানগণ মোহাম্মদ সাহেবকে সর্বশেষ নবী বা মহাপুরুষ বলে স্বীকার করেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে তাকে কলিযুগের শেষ অবতার বলা হয়েছে। বিদেশে কেবলমাত্র নবী আগমন করে এবং ভারতে কেবলমাত্র অবতার আগমন করেন, এমন হতে পারে না। পয়গাম্বর কেবলমাত্র আরবে আবির্ভূত হবেন, ভারতে হবে না; এটা ন্যায় বিচারসম্মত নয়। সে জন্য মুহাম্মদ সাহেবকে যখন সর্বশেষ পয়গাম্বর বা মহাপুরুষ বলে অবগত হলাম, তখন আমার অন্তরে পুরাণে উল্লেখিত কল্কি অবতার রচিত বিষয়ক অধ্যায়সমূহ পড়ার বিশেষ আগ্রহ জন্মিল। ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী ইতিপূর্বেই কলি-যুগের কিছু অংশ বিগত হয়েছে। কলি-যুগে যে সমস্ত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এবং যে সকল ঘটনা ঘটবে, আমি তার সমুদয় বিষয় মোহাম্মদ সাহেবের জীবনাবলীর সাথে সযত্নে তুলনা করি। ফলে তা সম্যকভাবে মিলে গিয়েছে। মোহাম্মদ সাহেবের তুলনাত্মক গ্রন্থ অধ্যায়ণ করে কেউ যেন এ ধারণা না করেন যে, আসলে মোহাম্মদ সাহেবের চরিত্রের রূপরেখা নিয়ে পরবর্তীকালে লোকেরা কল্কির কল্পনা করেছে। এ জন্য আমি সে সকল সনাতন ধর্ম গ্রন্থসমূহের আশ্রয় করে আলোচ্য গ্রন্থ প্রণয়ন করেছি, তারা মধ্যে পুরাণের রচনাকাল (মোহাম্মদ সাহেব এর বহু পূর্বে তা) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যুক্তি দ্বারা প্রমানিত করেছি।একেশ্বরবাদঋগবেদ বিশ্ব-চরাচরে পরিব্যপ্ত ঈশ্বরের বর্ণনা বহুরূপে প্রধান করা হয়েছে।এর ফলে দেববাদের প্রতিপাদন করত: ঋগবেদকে বহু দেববাদী গ্রন্থ করে দিয়েছেন। অনেকে ঋগবেদে উল্লেখিত বিভিন্ন নাম এবং বিভিন্ন গুণাবলী দেখে একাধিক দেবতার কল্পনা করেছেন। এটা ঋগবেদের অন্তর্নিহিত তত্ত্ব সম্পর্কে অজ্ঞতার ফল। প্রকৃতপক্ষে সত্ত্বা এক; তাঁর বিভিন্ন গুণের বিভিন্ন বর্ণনা প্রদত্ত হয়েছে।ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ, অগ্নি, গরুত্মান, যম এভং মাতারিখা ইত্যাদি নাম দ্বারা একই সত্ত্বাকে বিভিন্নরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।এন্দ্র মিত্রং বরূণ মগ্বিমাহুরথো দিব্য: স সুপর্নো গরুত্মান,একং সদ বিগ্র বহুধা বদন্ত্যগিন্য মাতরিখানমাহু:ঋ,বে,ম, ১০/সু১১৪/ম,৫বেদান্তে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এবং ব্রক্ষ্ম দিতীয়ং নাস্তি, নেহ নানাস্তি কিঞ্চন” অর্থ পরমেশ্বর, এক, তিনি ব্যতীত কেউ নেই।ঋগবেদের অগ্নিসূক্ত, ইন্দ্রসূক্ত, বরুন সূক্ত, যম সূক্ত এবং বিঞ্চুসূক্ত ইত্যাদি বিভিন্ন নামে ও গুণে য সত্ত্বার মহিমা ও যশগাণ ব্যক্ত করা হয়েছে, এককভাবে সে সত্ত্বাই ঈশ্বর। মানুষ তাঁকে বিভিন্নভাবে গ্রহণ করে। কেউ তাঁকে শিব বলেন, কেউ তাঁকে শক্তি ভাবেন, কেউ তাঁকে ব্রক্ষ মানেন, কেউ তাঁকে বুদ্ধ মনে করেন। কিন্তু একটি জিনিষের বিভিন্ন রূপ দেখে তাকে ভিন্ন ভিন্ন জিনিষ মনে করা বিরাট ভুল। এভাবে অর্থ করলে প্রকৃতপক্ষে বেদের অপব্যাখ্যা হবে এবং পরিণামে আর্য ধর্মকে বিকৃত করা হবে। দেব-দেবী, নর-নারী, সৎ-অসৎ বিশ্ব চরাচরের সর্বত্র ঈশ্বর চৈতন্যরূপে অধিষ্ঠিত আছেন। যদি ঈশ্বর বিশ্বে চেতানরূপে ব্যপ্ত না হতেন, তাহলে জগতের সমস্ত ক্রিয়াকলাপ স্তব্ধ হয়ে যেতে। যে ব্যক্তি স্বীয় অন্ত:করণ পবিত্র ও পরিশুদ্ধ রাখে, তার মধ্যে পরমানন্দ সত্ত্বার প্রতিফলন হয়। সে জন্য শিরায় -শিরায় ঈশ্বরকে অনুভব ও ধারণ করা উচিৎ এবং সদাচার ও নিষ্ঠার দ্বারা তাঁকে লাভ করতে প্রযত্ন করা আবশ্যক।
Tuesday, July 15, 2014
ইসরাইল বিশ্বের মানুষের কাছে অতি পরিচিত একটি
রাষ্ট্র। ইসরাইল ঠিক যে পন্থায় বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে মনে হয় আর কোনও রাষ্ট্র এমন পন্থায় পরিচিতি লাভ করেনি। বিশ্বের অনেক দেশ তাদের উন্নয়ন
ও আধুনিকতার কারণে সারা পৃথিবীতে পরিচিত তবে ইসরাইল এমন একটি দেশ যে দেশটি বিশ্বে হত্যাযজ্ঞের কারণে পরিচিত। খবরের পাতা উল্টালেই বা
টিভি অন করলেই ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের খবর ও ইসরাইলের নির্মমতার খবর অহরহ শোনা যায়।
মুসলমানরা
বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইসরাইল রাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা করে থাকে। এই ঘৃণার পিছনের কারণও অযথা নয়, কারণ এই ইসরাইলের হামলায় গত ৪০ বছরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনের রক্ত ধারা প্রবাহিত হয়েছে।
বিনা দোষে কোনও প্রকার কারণ ছাড়াই ইসরাইল
ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যা করে এবং রক্তে রঞ্জিত করে মুসলিম এলাকা। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল
মোকাদ্দাস দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে ইসরাইল
বাহিনী। ফলে ইসরাইল সকল মুসলিমদের চোখে প্রধান শত্রু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদদ পুষ্ট ইসরাইল বিশ্বের কোনও দেশকেই তোয়াক্কা করে না। তারা
নির্বিচারে প্রতিনিয়ত হত্যা করে চলেছে মুসলমানদের। কিন্তু তাদের দমন করার যেন কেউ নেই।
মধ্যপ্রাচ্যের
সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইসরাইল ভূমধ্য সাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। ইসরাইলের রাজধানীর নাম জেরুজালেম।
বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রই ইসরাইলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিব্রু ও আরবি। ২০
বর্গ কিলোমিটারের এই রাষ্ট্রটির অধিকাংশ জনগোষ্ঠীই ইহুদী ধর্মাবলম্বী। ইসরাইল রাষ্ট্রটির জন্ম ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ, বলা হয় মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কৌশলে ইসরাইল
রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মাঝখানে ইসরাইল একটি জ্বলন্ত সমস্যার নাম। আসুন এখন জানা যাক কিভাবে বহুল আলোচিত এই ইসরাইল
রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল।
১৯১৪ সালে শুরু
হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মুসলমান শাসকদের অদূরদর্শিতা এবং ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে তুরস্কে
মুসলিম খিলাফত ভেঙ্গে যায়। ব্রিটিশ বাহিনী ১৯১৭
সালে ইরাক, সিনাই উপত্যকা, ফিলিস্তিন ও পবিত্র জেরুজালেম দখল করে নেয়। ব্রিটিশরা প্রথম ফিলিস্তিনে পদার্পণ করে ফিলিস্তিন জয়কারী মুসলিম বীর সুলতান
সালাহ উদ্দীন আইয়ুবীর মাযার শরীফ এ গিয়ে তার মাযারে পদাঘাত করে উচ্চস্বরে বলতে থাকে “হে সালাহ উদ্দিন উঠে দেখ আমরা তোর সিরিয়া জয় করে এসেছি”। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর প্যালেস্টাইন বা
ফিলিস্তিন সহ বেশিরভাগ আরব এলাকা চলে যায় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের দখলে। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি ইহুদী
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। কিন্তু ব্রিটিশরা চাইনি ইহুদীদের ইউরোপে জায়গা দিয়ে
জঞ্জাল সৃষ্টি করতে। কারণ তারা
জানতো ইহুদীরা ঐতিহ্যগতভাবেই শয়তান। ইহুদীদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্রের চিন্তা শুরু হলে পৃথিবীর
কোন দেশ তাদের ভূখণ্ডে ইহুদীদের বসাতে রাজী হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত বেলফোর ঘোষণা অনুযায়ী ফিলিস্তিন এলাকায় ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রে গঠনের
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইহুদীদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়ার পর বিপুল সংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে শুরু
করে। দুর্বল শক্তির কারণে প্রথম পর্যায় থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমান রাষ্ট্র সমূহ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের আগমনকে বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়।
ইহুদীরা
ফিলিস্তিন আসা শুরু করলে ১৯০৫ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা কয়েক হাজারে উন্নীত
হয়। কিন্তু ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি
পেয়ে ২০ হাজারে উন্নীত হয়। এরপর শুরু হয় বিশ্ব ইহুদীদের একত্রিত করার কাজ। মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ, তাদের শক্তি খর্ব, তাদের মাঝে অনৈক্য স্থাপন ও
মুসলমানদের দমনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকাশ্যে ইহুদী অভিবাসীদের ধরে এনে ফিলিস্তিনে জড়ো করার কাজ শুরু করা হয়। ফলে ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ সাল নাগাদ
ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ হাজারে পৌঁছে যায়। ধীরে ধীরে ইসরাইল ইহুদীদের জন্য
নিরপরাধ ও স্বাধীন এলাকা হিসেবে
গড়ে উঠার ফলে সেখানে ইহুদীর সংখ্যা দ্রুতই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৩১ সালে ইহুদীদের সংখ্যা প্রায় ৫
গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারে পৌঁছায় এবং ১৯৪৮ সালে সেখানে ইহুদীদের সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত হয়।
১৯১৮ সালে
ব্রিটেনের সহযোগিতায় ইসরাইলের গুপ্ত ইহুদী বাহিনী “হাগানাহ” গঠিত হয়। এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের অবৈধ
রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকে। প্রথম পর্যায়ে ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ
বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়। ফিলিস্তিনী জনগণের বাড়িঘর ও ক্ষেতখামার দখল করে তাদেরকে ফিলিস্তিন
থেকে বিতাড়িত করা এবং বাজার ও রাস্তাঘাটসহ জনসমাবেশ স্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফিলিস্তিনীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ছিল হাগানাহ বাহিনীর
প্রধান কাজ। মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাসকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি একটি স্বাধীন ও একচ্ছত্র মুসলমানদের এলাকা হলেও
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ
ইহুদীদের ক্রীড়নকে পরিণত হয়ে মার্কিন ও ব্রিটেনের চক্রান্তকে সফল করার উদ্দেশ্যে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের বিরোধিতাকে তোয়াক্কা না করে ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত
করার প্রস্তাব পাশ করে।
এই প্রস্তাব
অনুসারে জাতিসংঘ মুসলমানদের প্রাণের মাতৃভূমির মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের প্রদান করে এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি
জোর করে ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়। এভাবে
ফিলিস্তিনের ভূমিকে জোর পূর্বক দখল করে গঠন করা হয় নতুন ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল। ১৯৪৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছোট
রাষ্ট্রগুলোকে চাপ দিতে থাকে জাতিসংঘে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য। মার্কিনদের
প্রবল চাপ ও মুসলমানদের দুর্বলতার সুযোগে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েলকে জাতিসংঘ ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা
প্রদান করে।
স্বাধীনতা লাভ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সাহায্যে ইসরাইল অস্ত্র-শস্ত্র ও শক্তিতে পরাক্রমশালী হয়ে উঠে। যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল সেই ফিলিস্তিনকে পরাধীন করে ফিলিস্তিনের বাকি ভূমিগুলোকেও দখলের পায়তারা করতে থাকে ইসরাইল। বিনা অপরাধে, বিনা উস্কানিতে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো মার্কিনীদের সেবা দাসে পরিণত হওয়ায় তারা ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে খুব বেশী আন্দোলন মুখর হতে ব্যর্থ হয়। অধিকাংশ মুসলিম দেশ ইসরাইলকে ঘৃণা করলেও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রটি ছিল মিশর।
স্বাধীনতা লাভ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সাহায্যে ইসরাইল অস্ত্র-শস্ত্র ও শক্তিতে পরাক্রমশালী হয়ে উঠে। যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল সেই ফিলিস্তিনকে পরাধীন করে ফিলিস্তিনের বাকি ভূমিগুলোকেও দখলের পায়তারা করতে থাকে ইসরাইল। বিনা অপরাধে, বিনা উস্কানিতে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো মার্কিনীদের সেবা দাসে পরিণত হওয়ায় তারা ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে খুব বেশী আন্দোলন মুখর হতে ব্যর্থ হয়। অধিকাংশ মুসলিম দেশ ইসরাইলকে ঘৃণা করলেও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রটি ছিল মিশর।
ফিলিস্তিনি
ভূমি জোর করে দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করে চলেছে।
১৯৬৪ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠন PLO প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে
ফিলিস্তিনিরা। ইয়াসির আরাফাতের
ইন্তেকালের পরও এখনো স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে চলেছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনীরা।
ইসরাইলের
বর্তমান জনসংখ্যা ৭৪ লক্ষ ৬৫ হাজার। আমেরিকার মদদে ইসরাইল এখন এতটাই শক্তিশালী যে, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। মুসলমানদের শক্তি হিসেবে বর্তমানে
ইসরাইলকে চোখ রাঙ্গিয়ে আসছে ইরান। আর তাই ইরান-ইসরাইল এখন এক রণাঙ্গনের নাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন
সেদিন খুব বেশী দূরে নয় যেদিন বিশ্ব
মানচিত্র থেকে ইসরাইলের নাম আবার মুছে যাবে। তবে সেটির জন্য দরকার মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে একতা। সত্যিই কি মানচিত্র থেকে মুছে যাবে
ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল? এখন শুধু অপেক্ষার পালা!
Thursday, June 26, 2014
Cad Lisp and Tips: Tip : Convert Autocad Text to Excel
Cad Lisp and Tips: Tip : Convert Autocad Text to Excel: The following procedure allows you to copy text from AutoCAD and paste it in excel as a text. Autocad: First copy and stack the...
Tuesday, August 7, 2012
Wednesday, June 13, 2012
Leader's Of Bangladesh
Sheikh Mujibur Rahman was a Bengali nationalist politician and the founder of Bangladesh. He headed the Awami League, served as the first President of Bangladesh and later became its Prime Minister. Wikipedia
|
Education: University of Calcutta, University of Dhaka, Maulana Azad College
Ziaur Rahman, Bir Uttam, Hilal-e-Jurat was a Bangladeshi politician and an army officer, who announced the Declaration of Independence of Bangladesh twice, the first being on 26 March 1971 at Kalurghat, Chittagong.Wikipedia Born: January 19, 1936, Bogra District Assassinated: May 30, 1981, Chittagong Spouse: Khaleda Zia Education: D. J. Science College,National Defence University, Islamabad
Lieutenant General Hussain Muhammad Ershad is a Bangladeshi politician who was President of Bangladesh from 1983 to 1990. Previously, he was Chief of Army Staff of the Bangladesh Army and then Chief Martial Law Administrator in 1982. Wikipedia
|
Subscribe to:
Comments (Atom)
